Showing all 3 results

Show sidebar

মুখতাসার ফিকহুস সুন্নাহ

৳ 1,200.00
হে পাঠক ভাই! এই কিতাব রচনাতে আমার কিছু পদ্ধতি নিচে বর্ণনা করা হলো ১. উৎসগুলো নির্ধারণ করা এবং এই কিতাবের প্রতিটি অধ্যায়ের বিষয়গুলোকে একত্রিত করা। আর আলহামদুলিল্লাহ, এগুলো অনেক। যেমন কুরআনের তাফসীর, বিশেষ করে বিধি-বিধান সম্বলিত আয়াতগুলোর তাফসীর। তারপর হাদীসের কিতাব, বিশেষ করে যেগুলোতে ফিকহ সম্বলিত হাদীসগুলোর দিকে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। তারপর বিভিন্ন মাযহাবের ফিকহের কিতাব, তুলনামূলক বিভিন্ন মাযহাবের ফিকহের কিতাব, বিশেষ করে যেগুলোতে দলীল উল্লেখ করা, বিপরীত পক্ষের মত নিয়ে আলোচনা করা ও তার রদ্দ করার দিকে মনোযোগ দেয়া হয়েছে। ২. কুরআন সুন্নাহর কোন একটি মতকে প্রাধান্য দেয়া, যেই মতের পক্ষে দলীল শক্তিশালী ও যার দলীলগুলো স্পষ্ট সেটিকে প্রাধান্য দেয়া। আর এটি শুধু এমনিতেই সাজিয়ে বলা নয়, বরং এটি হলো যেখানেই দলীল পেয়েছি, সেই দলীলেরই অনুসরণ করা এবং স্পষ্ট হকের সামনে নত হওয়া। ৩. হাদীসগুলোর তাখরীজ করা এবং প্রত্যেকটি হাদীস সহীহ নাকি যঈফ তা বর্ণনা করা। আর আমি দলীল হিসেবে শুধু সহীহ অথবা হাসান হাদীসের ওপরই নির্ভর করেছি। আর যঈফ হাদীসকে আমি গ্রহণ করিনি, সেই অনুযায়ী আমলও করিনি এমনকি আমলের ফযীলত সম্পর্কীত যঈফ হাদীসের ক্ষেত্রেও নয়। আর সাহাবীর মুরসাল বর্ণনা গ্রহণ করেছি। আর আমি মদীনাবাসীদের আমলের ওপরে খবরে আহাদকে প্রাধান্য দিয়েছি। অনুরূপভাবে কিয়াস ও উসূলের বিপরীত হলেও আমি খবরে আহাদের অনুযায়ী আমল করেছি। আর বিভিন্ন আসারসমূহের ক্ষেত্রেও আমি সেগুলো সহীহ নাকি যঈফ তা বর্ণনা করেছি, যখন তা দলীল হিসেবে পেশ করেছি।   ৪. ইখতেলাফ সাব্যস্ত হয়নি এমন নিশ্চিত ইজমাকে সম্মান করা। ৫. সহীহ কিয়াসের ওপর আমল করা, যখন মূল ও শাখাকে একত্রকারী কারণ স্পষ্ট হয়, মূল ও শাখার মাঝে স্পষ্ট বা গোপন কোন পার্থক্যকারী না থাকে এবং ধর্তব্য বিরোধী কোন কিছু পাওয়া না যায়। ইবনু তাইমিয়্যাহ (রহি) তার ‘রিসালাতুল কিয়াস’ (১০ পৃ.) কিতাবে বলেন, কিয়াস শব্দটি একটি মুজমাল বা সংক্ষেপ শব্দ, যাতে সহীহ কিয়াস ও বাতিল কিয়াসও অন্তর্ভুক্ত হয়। কিন্তু সহীহ কিয়াসের বিষয়েই শরীআত বর্ণনা করেছে। ইবনু তাইমিয়্যাহ (রহি) এর ছাত্র ইবনুল কাইয়্যিম আল জাওযিয়্যাহ (রহি) তার ‘ইলামুল মুআক্কিন (১/১৩০) কিতাবে বলেন, বরং সাহাবীগণ কিয়াসের বিষয়ে একমত ছিলেন। আর এটি শরীআতের একটি উৎস, যা থেকে কোন ফকীহ অমুখাপেক্ষী হতে পারে না। ৬. শরীআতের মূলনীতিমালা ও ফকীহগণের মতামতের সাহায্যে নতুন ফিকহী বিষয়গুলো নিয়ে পর্যালোচনা করা। কিন্তু তারপরও আমি ত্রুটি থেকে মুক্ত হওয়ার দাবি করছি না। কেননা ত্রুটি মুক্ততা তো সেই সব রসূলগণের জন্য, আল্লাহ তাআলা যাদেরকে নির্দিষ্ট করেছেন। তবে আমি বলতে চাই যে, আমি আমার সাধ্যমতো কাজটি করার চেষ্টা করেছি। আমি আশা করি যে, এটি দুনিয়া ও আখিরাতে আমার ও মুসলিমগণের জন্য উপকারে আসবে। আমি যা কামনা করছি আল্লাহর কাছে সেটি অর্জনের তাওফীক চাই, আর দয়া ও অনুগ্রহ তো আল্লাহর পক্ষ হতেই। আমি আল্লাহর কাছে কল্যাণ চেয়েছি এবং আমি আমার সাধ্য মতো চেষ্টা করেছি। আর প্রত্যেকটি আমল তো নির্ভর করে তার নিয়্যাতের ওপরে। হে আল্লাহ! আমাদের সকল আমলকে সৎ করে দিন এবং একমাত্র আপনার সন্তুষ্টির জন্য কবুল করুন। আর এগুলোতে অন্য কারো অংশ রাখবেন না। আমীন। মুহাম্মাদ সুবহী ইবনে হাসান হাল্লাক